| |
               

মূল পাতা জাতীয় তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের ৯ প্রস্তাব ৬ কর্মসূচি ঘোষণা


তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের ৯ প্রস্তাব ৬ কর্মসূচি ঘোষণা


আলাউদ্দিন বিন সিদ্দিক     27 August, 2022     03:08 PM    


আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের উলামা মাশায়েখ ও প্রতিনিধি সম্মেলনে ৯ প্রস্তাব ৬ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ (২৭ আগস্ট) শনিবার ঢাকার গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া।

৯ প্রস্তাব :

১. কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের ন্যায় বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘােষণা করতে হবে । হিন্দু, খৃস্টান, বৌদ্ধরা যেমন এদেশে সংখ্যালঘু অমুসলিম পরিচয়ে বসবাস করছে, কাদিয়ানীরাও তেমন অমুসলিম পরিচয়ে থাকতে হবে।

২. রাজধানী ঢাকার বখশিবাজার, মিরপুর, নাখালপাড়া, নন্দিপাড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কাদিয়ানীরা সেন্টার করে অসহায় সাধারণ মুসলমানদেরকে আর্থিক সহযােগিতা ও বিভিন্ন প্রলােভনে ফেলে ঈমানহারা করছে। সম্প্রতি তারা সারাদেশে সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতসহ অসংখ্য মসজিদ মাদরাসায় কাদিয়ানী ধর্মমত গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়ার মতাে দুঃসাহস দেখিয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদের এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।।

৩. কাদিয়ানী সম্প্রদায় কুরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে, সারা দুনিয়ার উলামা মাশায়েখ ও মুফতীগনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে অমুসলিম হয়েও মুসলিম পরিচয়ে মুসলমানদের পথভ্রষ্ট করছে বিধায়-তাদের জন্য ইসলামি পরিভাষা যথা-নামাজ, রােজা, হজ্জ, যাকাত, সদকা, মসজিদ, মাদরাসা, আজান, ইমাম, মুয়াজ্জিন ইত্যাদি পরিভাষা নিষিদ্ধ করতে হবে।

৪. কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের রচিত বিকৃত কুরআন নামক বই সহ তাদের যাবতীয় বই-পুস্তক, লিটারেচার, লিফলেট, পাক্ষিক মাসিক পত্র-পত্রিকা মুদ্রণ, প্রচার, সংরক্ষণ ও বিতরণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার সাথেসাথে বাজেয়াপ্তও করতে হবে।

৫.কাদিয়ানীদের পষ্ঠপােষক ও অর্থায়নকারী হিসাবে চিহ্নিত সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান যথা প্রাণ, আরএফএল সহ যত প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের উৎপাদিত যাবতীয় পণ্য ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় তথা সকল। স্তরেই বয়কট করতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানাে হচ্ছে।

৬. কাদিয়ানীরা যেহেতু মুসলমান নয় সেহেতু তাদের কোন মসজিদ থাকতে পারে না। তাদের উপসনালয়কে মসজিদ নাম দেওয়ার কারণে অনেক মুসলমানের নামাজ নষ্ট হচ্ছে, তাই তাদের সকল। মসজিদ নামের উপসনালয়কে সরকারি উদ্যোগে উদ্ধার করে মুসলমানদের নিকট হস্তান্তর করতে হবে।

৭. কাদিয়ানিদের লাশ মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না।

৮. কাদিয়ানী কোম্পানির যেকোনাে পণ্যের প্রচারণা থেকে গণমাধ্যম (ইলেক্টিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) কে বিরত থাকার জন্য আজকের সম্মেলন থেকে জোরালাে আহ্বান জানানাে হচ্ছে।

৯. কাদিয়ানীরা তাদের পাসপাের্টে ধর্মীয় পরিচয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না। তাদের ধর্ম পরিচয় হবে; তারা কাদিয়ানী। এ ব্যাপারে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।কর্মসূচি :

১. আগামী ছয় মাসের মধ্যে জেলায় জেলায় কমিটি গঠন ও নবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

২. আট বিভাগে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে।

৩. রবিউল আউয়াল মাসে দেশের প্রতিটি জেলায় সীরাত সম্মেলন করা হবে। 

৪. বিভাগীয় সম্মেলন শেষে রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক মহা-সম্মেলন করা হবে।

৫. বছরজুড়ে সারাদেশে আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত ও রদ্দে কাদিনিয়াতের উপর জেলাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়ােজন করা হবে।

৬. যেসব এলাকায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা দেখা যাবে সেসব এলাকায় দাওয়াতি কাফেলা প্রেরণ করা হবে।